কলকাতার আরএন টেগোর হসপিটালের বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ দেবদত্ত ভট্টাচার্য সম্প্রতি হৃদরোগ চিকিৎসায় একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছেন। আধুনিক যন্ত্র ও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ডুয়েল চেম্বার লিডলেস পেসমেকার সফলভাবে রোগীর শরীরে ইমপ্ল্যান্ট করা হয়েছে। এটি পূর্ব ভারতের প্রথম ঘটনা, যা কার্ডিয়াক চিকিৎসাক্ষেত্রে ইতিহাস গড়ে।
হৃদস্পন্দন নিয়মিত রাখার জন্য কৃত্রিম বৈদ্যুতিক যন্ত্র হলো পেসমেকার। হার্টের গতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেসমেকারের প্রথম সফল ব্যবহার করা হয় ১৯৫৮ সালে আর্নে লারসনের শরীরে। পরবর্তীতে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন উন্নত পেসমেকার আবিষ্কার হয়েছে, যার মধ্যে আধুনিকতম হলো লিডলেস ডুয়েল চেম্বার পেসমেকার।
লিডলেস পেসমেকার কেন প্রয়োজন?
হার্টে ব্লকেজ বা অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন হলে পেসমেকার বসানো হয়। সাধারণ পেসমেকার বুকের চামড়া কেটে হার্টের পাশে বসানো হয় এবং লিড বা তারের মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল পৌঁছে। কিন্তু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে বুকের চামড়া কাটা সম্ভব নয় বা ভেনাস অ্যাক্সেস নেই। এর ফলে লিড বসানো সম্ভব হয় না।
আগে এই ধরনের ক্ষেত্রে এপিকার্ডিয়াল পেসমেকার ব্যবহার করা হতো, যা জটিল অস্ত্রোপচার। তবে লিডলেস পেসমেকার এই সমস্যার সমাধান করেছে।
ছোট সাইজের এই যন্ত্র শরীরে সহজেই প্রবেশ করানো যায়, সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকে, এবং ব্যাটারি শেষ হলে সহজেই বের করা সম্ভব। চলতি মাসের শুরুতেই কলকাতায় পূর্ব ভারতের মধ্যে প্রথমবার ডুয়েল চেম্বার লিডলেস পেসমেকার বসানো হয়েছে, যা কার্ডিয়াক চিকিৎসাক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে।



