রোগীর পটভূমি
বিহারের পাটনার বাসিন্দা, ৭৬ বছর বয়সী ব্যবসায়ী বিপিন পোদ্দার দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে পেসমেকার-জনিত সংক্রমণে ভুগছিলেন। প্রথমবার ২০১৫ সালে তাঁর ডানদিকে বুকে পেসমেকার বসানো হয়। ২০১৮ সালে তা বামদিকে স্থানান্তর করা হলেও, ডানদিকের প্রাথমিক লিডটি সম্পূর্ণভাবে অপসারণ করা হয়নি, বরং কেটে শরীরের ভেতরেই রেখে দেওয়া হয়। এর ফলেই ধীরে ধীরে সাব-অ্যাকিউট সংক্রমণ তৈরি হয়।
২০২১-২২ সালে আরও একটি অস্ত্রোপচার হয়, কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। রোগীর দীর্ঘমেয়াদী উচ্চমাত্রার জ্বর শুরু হয়, যা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকে।
চিকিৎসার চ্যালেঞ্জ
এই জটিল কেসটি মণিপাল হাসপাতাল ইএম বাইপাসের ডা. দিলীপ কুমার, ডিরেক্টর ক্যাথ ল্যাব ও সিনিয়র ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট-এর নেতৃত্বে চিকিৎসা করা হয়।
ডা. কুমার ব্যাখ্যা করেন—
“কার্ডিয়াক ইমপ্ল্যান্টেবল ইলেকট্রনিক ডিভাইস (CIEDs) হৃদস্পন্দনজনিত সমস্যার চিকিৎসায় বিপ্লব এনেছে। কিন্তু যদি লিড আংশিকভাবে রয়ে যায় এবং সংক্রমণ হয়, তা জীবনহানির ঝুঁকি তৈরি করে। এই ক্ষেত্রে পুরোনো লিডটি শরীরে প্রায় ১০ বছর ধরে সংক্রমণের উৎস ছিল। অপসারণ করা ছিল অত্যন্ত জটিল, কারণ আগের অস্ত্রোপচারের দাগ ও সম্ভাব্য জটিলতা। তাই নিখুঁতভাবে লিডটি বের করতে হতো যাতে রোগীর হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
তিনি আরও বলেন, লিডলেস পেসমেকার (Leadless Pacemaker) অনেক বেশি নিরাপদ বিকল্প, বিশেষত যখন ট্রান্সভেনাস লিড এক্সট্রাকশন (TLE) এর সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। ভারতীয় প্রেক্ষাপটে একসঙ্গে TLE এবং LP ইমপ্ল্যান্টেশনের ডেটা সীমিত হলেও, এই কেস সেই চিকিৎসার গুরুত্ব প্রমাণ করল।
চিকিৎসার ফলাফল
দীর্ঘ প্রস্তুতি ও নিখুঁত পরিকল্পনার পর সংক্রমিত লিড সম্পূর্ণভাবে সরানো হয়। রোগীর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসে এবং সফলভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কয়েকদিন পর তাঁকে হাসপাতাল থেকে সুস্থ অবস্থায় ছাড়া হয়।
রোগী বিপিন পোদ্দার জানান—
“বছরের পর বছর জ্বর ও দুর্বলতায় কষ্ট পেয়েছি। বহু সার্জারি করেও সমস্যার মূল কারণ কেউ খুঁজে বের করতে পারেনি। মণিপাল হাসপাতালে এসে সবকিছু বদলে গেল। ডা. দিলীপ কুমার শুধু সমস্যাটি সঠিকভাবে শনাক্তই করেননি, বরং অত্যন্ত যত্ন ও দক্ষতার সঙ্গে চিকিৎসা করেছেন। আমি যেন নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি।”
বিশেষ মন্তব্য
মণিপাল হাসপাতাল – ইস্ট-এর আঞ্চলিক সিওও ডা. আয়নভ দেবগুপ্ত বলেন—
“এমন জটিল কেস আমাদের চিকিৎসক দলের দক্ষতা ও আধুনিক কার্ডিয়াক কেয়ারের ক্ষমতাকে প্রমাণ করে। দশ বছরের পুরোনো পেসমেকার সংক্রমণ সফলভাবে চিকিৎসা করা মণিপালের অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি ও মানবিক যত্নেরই প্রতিফলন।”
Dr. Dilip Kumar
MBBS, MD(Medicine), DM( Cardiology) | FACC | FRCP (GLAS) | FSCAI | FESC | FICC | FHRS | Certified Cardiac Device Specialist (CCDS, HRS, USA)
Designation
Director-Cardiac Cath Lab
Senior Consultant Interventional Cardiologist and Electrophysiologist
Chief Academic Co-Ordinator, Manipal Hospital, EM Bypass
About Doctor
Dr. Dilip Kumar is a highly respected Interventional Cardiologist and Structural Heart Expert based in Kolkata, currently serving as a Consultant in the Department of Cardiology at Manipal Hospitals E.M. Bypass. With over 15 years of experience, Dr. Kumar has established himself as a leader in complex coronary interventions, TAVI/LAAC, structural heart procedures, cardiac device specialisation, and endovascular interventions. His exceptional qualifications include an MBBS, MD (Medicine), DM (Cardiology), and multiple esteemed fellowships such as FACC, FRCP (Glasgow), FSCAI, FESC, FICC, and FHRS. Additionally, he is a Certified Cardiac Device Specialist (CCDS, HRS, USA).
