Dialysis Unit at Canning Sub-Divisional Hospital to Launch in July

বহুপ্রতীক্ষিত পরিষেবা অবশেষে বাস্তবায়নের পথে
দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার পর অবশেষে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চালু হতে চলেছে ডায়ালিসিস ইউনিট। পিপিপি (PPP) মডেলে নির্মিত এই আধুনিক ইউনিটের উদ্বোধন হবে জুলাই মাসের শেষ দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। ইউনিটটিতে থাকছে পাঁচটি ডায়ালিসিস বেড। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এসে গিয়েছে এবং দ্রুতই পরিষেবা শুরু হবে বলে জানা গেছে।

সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের জন্য বড় স্বস্তি
এই পরিষেবা চালু হলে ক্যানিং ১ ও ২, বাসন্তী, গোসাবা সহ আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে আর কলকাতা বা অন্যত্র ডায়ালিসিসের জন্য যেতে হবে না। এতদিন ক্যানিং হাসপাতালে ডায়ালিসিসের সুযোগ না থাকায় কিডনির জটিলতায় ভোগা রোগীদের প্রায়শই দূরের হাসপাতালে রেফার করা হতো। এতে চিকিৎসার খরচ বাড়ার পাশাপাশি রোগীর পরিজনদেরকেও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো।

বর্ষায় সাপে কাটা রোগীদের জরুরি প্রয়োজন মেটাবে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই অঞ্চলে বর্ষাকালে সাপে কাটার ঘটনা অনেকটাই বেড়ে যায়। অনেক সময় এসব রোগীর কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে এবং ডায়ালিসিস প্রয়োজন হয়। এতদিন সেক্ষেত্রে রোগীকে অন্যত্র পাঠাতে হত। এখন সেই প্রয়োজন হবে না – ক্যানিং হাসপাতালেই মিলবে জরুরি চিকিৎসা।

রোগী কল্যাণ সমিতির মন্তব্য
বাসন্তীর বিধায়ক ও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান শ্যামল মণ্ডল জানান:
“বহুদিনের প্রচেষ্টায় অবশেষে এই হাসপাতালেই ডায়ালিসিস পরিষেবা চালু হতে চলেছে। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হল। এই ইউনিট নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা।”

উপসংহার
এই নতুন ডায়ালিসিস ইউনিট শুধু একটি চিকিৎসা পরিষেবা নয়, বরং এটি সুন্দরবনের প্রান্তিক জনগণের জন্য সময়োপযোগী এক বড় পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সমান অধিকার ও সুযোগকে সামনে এনে দেবে এবং বহু মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *