রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে হাসপাতাল’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য—শহর বা বড় সরকারি হাসপাতালে না গিয়েই বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষ যেন ঘরে বসেই আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা পান।
কী কী সুবিধা মিলবে ‘দুয়ারে হাসপাতাল’-এ?
- ৫জি সুবিধাযুক্ত মোবাইল হাসপাতাল
- চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট
- ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা
- অনলাইন প্রেসক্রিপশন ও বিশেষ এগজামিনেশন রুম
- পোর্টেবল এক্স-রে ও ইউএসজি সুবিধা
এছাড়াও প্রতিটি মোবাইল হাসপাতালে থাকবে মেডিক্যাল ইউনিট অ্যাটেনডেন্ট, যা রোগীদের দ্রুত ও কার্যকর পরিষেবা দিতে সহায়ক হবে।
কোথায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে?
জঙ্গলমহল ও চা-বাগানের মতো তুলনামূলকভাবে নিম্ন আয়ের এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌঁছবে এই ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল।
কতগুলি মোবাইল হাসপাতাল থাকবে?
- রাজ্যে মোট ২১০টি ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
- এর মধ্যে প্রায় ৩০টি হাসপাতালে এক্স-রে ও ইউএসজি সুবিধা থাকবে।
- প্রতিটি ইউনিটে থাকবে ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে স্বাস্থ্যভবন সরাসরি নজরদারি করবে।
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান
এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে।
- ২৩১ জন চালক (বেতন ১৬ হাজার টাকা মাসে)
- ২৩১ জন মোবাইল মেডিক্যাল অ্যাটেনডেন্ট (বেতন ১৫ হাজার টাকা মাসে)
এর মাধ্যমে কয়েকশো মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।
বিশেষত্ব
বিনামূল্যের চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসাথী, ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের পর এবার ‘দুয়ারে হাসপাতাল’ হতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন গেম চেঞ্জার। স্বাস্থ্যকর্তাদের মতে, এই প্রকল্প বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবায় এক নতুন ইতিহাস গড়বে।



