Cashless Treatment for Accident Victims in West Bengal

রাজ্যে এবার পথ দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য শুরু হচ্ছে ক্যাশলেস চিকিৎসা প্রকল্প। দুর্ঘটনার পর ‘গোল্ডেন আওয়ার’-এ আর আর্থিক জটিলতার কারণে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে থাকবে না। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে এবং প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বহু জীবন রক্ষা সম্ভব হবে।

এই প্রকল্প কার্যকর করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তৈরি হচ্ছে একটি SOP (Standard Operating Procedure), যাতে কোনও প্রশাসনিক বিলম্ব বা কাগজপত্রের কারণে চিকিৎসা ব্যাহত না হয়।

পূর্বে দেখা যেত, দুর্ঘটনার পর আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রশ্ন উঠত — চিকিৎসার খরচ কে দেবে? এই কারণে চিকিৎসা শুরুতে দেরি হত। এই পরিস্থিতির সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকার গত মে মাসে একটি প্রকল্প ঘোষণা করে, যাতে বলা হয়েছে — দুর্ঘটনায় জখম ব্যক্তিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে এলে সর্বাধিক ₹১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্যাশলেস চিকিৎসা মিলবে। অতিরিক্ত খরচ জখম ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে।

এই সুবিধা বাংলাতেও চালু হতে চলেছে। এখন রাজ্যে চূড়ান্ত হচ্ছে কোন কোন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং জেলার রোড সেফটি কমিটি-তে কারা থাকবেন।

যখন কোনও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হবে, চিকিৎসকরা আগে তাঁকে দেখে ঠিক করবেন ভরতি করতে হবে কি না। যদি ভরতি করা হয়, তবে ‘পেশেন্ট আইডি’ তৈরি করে সেই তথ্য পুলিশকে পাঠানো হবে। পুলিশ থানার এফআইআর নম্বর ও বিস্তারিত তথ্য যুক্ত করে কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করবে। এরপর রোড সেফটি কমিটি পরীক্ষা করে ₹১.৫ লক্ষ টাকার চিকিৎসা অনুমোদন করবে।

যদি তালিকাভুক্ত হাসপাতাল না থাকে, তবে অন্য কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে ভরতি করালেও প্রয়োজনীয় নথিপত্র থানায় পাঠিয়ে কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় পোর্টালে আপলোড করা হলে টাকা পাওয়া যাবে। এমনকি, বিমাহীন বা মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির ধাক্কায় আহত হলেও এই সুবিধা মিলবে।

প্রত্যেক জেলার কমিটি নজরদারি করবে যে, কোনও হাসপাতাল যেন ভরতি নেওয়ার মতো অবস্থায় থেকেও আহত রোগীকে ফিরিয়ে না দেয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *