অক্টোবর মাস বিশ্বজুড়ে পালিত হয় ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতার মাস হিসেবে। সেই উপলক্ষ্যে, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্ট (IIHM) এবং এনসিআরআই হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব ব্রেস্ট ডিজিজ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হল ক্যান্সার সচেতনতা সেমিনার — ‘প্রোজেক্ট পিঙ্ক অ্যালার্ট’।
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য, ছাত্রছাত্রী ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। অনুষ্ঠানের পরিকল্পনায় ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এআই গবেষক ডা. কণাদ বসু, এবং নেতৃত্বে ছিলেন ইনস্টিটিউট অব ব্রেস্ট ডিজিজের ডিরেক্টর ও প্রখ্যাত ক্যান্সার সার্জন ডা. সৌমেন দাস।
ডা. দাস বলেন, “অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে দেরিতে। রোগী তখন বুঝতেই পারেন না যে শরীরে নীরবে বড় বিপদ বাসা বেঁধেছে। তাই প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ শনাক্ত করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
সেমিনারে আলোচনা হয় —
-
ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ চেনার উপায়
-
স্ব-পরীক্ষা (Self-Examination)-এর গুরুত্ব
-
সময়মতো স্ক্রিনিং ও ডায়াগনসিসের প্রয়োজনীয়তা
-
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও সফলতার হার
ডা. দাসের মতে, “নবীন প্রজন্ম সচেতন হলে তবেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রকোপ কমানো সম্ভব। তরুণ প্রজন্মের জানা দরকার—এই রোগ শুধুমাত্র মহিলাদের নয়, পুরুষদেরও হতে পারে।”
‘প্রোজেক্ট পিঙ্ক অ্যালার্ট’ শুধু একটি সেমিনার নয়, এটি একটি সামাজিক প্রচেষ্টা—যার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেখানো হচ্ছে কীভাবে সচেতনতা ও প্রাথমিক পরীক্ষা জীবনের রক্ষাকবচ হতে পারে।



