সাপে কাটার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত, ক্যানিং থেকে গবেষণার পথচলা শুরু করল কল্যাণী এইমস
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নিজস্ব প্রতিবেদন:
সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসায় আরও নির্ভুলতা ও সাফল্য আনতে উদ্যোগী হয়েছে কল্যাণী AIIMS। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে শুরু হয়েছে এই গবেষণার প্রথম ধাপ। এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হল — সাপের কামড় ও অন্যান্য বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা এবং সাপভেদে পৃথক অ্যান্টিভেনম সিরাম তৈরি করা।
বর্তমানে হাসপাতালে আসা সাপে কাটা রোগীদের ক্ষতস্থান থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে, যা পাঠানো হচ্ছে কল্যাণী এইমসে। গবেষকদের আশা, এই নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যাবে— এটি বিষধর সাপের কামড় কিনা, অথবা অন্য কোনও বিষাক্ত পোকামাকড়ের প্রভাব।
চিকিৎসকদের মতে, বর্তমানে উপসর্গ দেখে একসঙ্গে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়। অনেক সময় সেটি অপ্রয়োজনীয়ও হতে পারে। ভবিষ্যতে এই গবেষণার ভিত্তিতে একটি বিশেষ ‘ডিটেকশন কিট’ তৈরি হবে, যার মাধ্যমে মুহূর্তে জানা যাবে— কী কামড়েছে। এই কিট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে IIT খড়্গপুরকে।
ক্যানিং হাসপাতালের সুপার ড. পার্থসারথী কয়াল জানান, “এই গবেষণা সফল হলে, অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্ভুলতা আসবে, অপচয় কমবে এবং চিকিৎসা আরও ফলপ্রসূ হবে।”
গবেষণার মূল দিক:
-
কালাচ, চন্দ্রবড়া ও কেউটের জন্য আলাদা অ্যান্টিভেনম তৈরির লক্ষ্য
-
সংগ্রহকৃত রক্তের নমুনা রাখা হচ্ছে -২০°C তাপমাত্রায়, পরে AIIMS-এ -৮০°C তে সংরক্ষণ
-
গবেষণা চলবে এক বছর ধরে
-
দ্রুত সনাক্তকরণে তৈরি হবে বিশেষ কিট
-
চিকিৎসায় আসবে বড় রকমের উন্নতি
এই উদ্যোগ শুধুমাত্র চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আধুনিকতর করবে না, বরং গ্রামীণ ও মফস্বলি অঞ্চলের সাধারণ মানুষও উপকৃত হবেন।