সম্প্রতি সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া-র উদ্যোগে কলকাতায় আয়োজিত হল কংকার এইচপিভি অ্যান্ড ক্যান্সার কনক্লেভ ২০২৫, যার মূল লক্ষ্য ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচপিভি ভাইরাস ও এই ভাইরাসজনিত ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসকগণ—শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়দীপ চৌধুরি, ডা. অভিজিৎ সরকার, গাইনিকোলজিক্যাল ক্যান্সার সার্জেন ডা. দীপান্বিতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও গাইনিকোলজিস্ট ডা. বাসব মুখোপাধ্যায়, যাঁরা এইচপিভি ভাইরাসের ভয়াবহতা ও টিকার উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এইচপিভি ভাইরাস কী?
এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) একটি যৌনবাহিত ভাইরাস যা নারী ও পুরুষ উভয়ের শরীরে ক্যান্সার এবং জেনাইটাল ওয়ার্টস তৈরি করতে পারে।
-
নারী শরীরে এই ভাইরাস থেকে হতে পারে:
-
সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার
-
ভ্যাজাইনাল ও ভালভার ক্যান্সার
-
অ্যানাল ও ওরোফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার
-
জেনাইটাল ওয়ার্টস
-
-
পুরুষদের ক্ষেত্রেও হতে পারে:
-
পেনাইল ক্যান্সার
-
অ্যানাল ও ওরোফ্যারিঞ্জিয়াল ক্যান্সার
-
জেনাইটাল ওয়ার্টস
-
টিকা কতটা কার্যকর?
চিকিৎসকদের মতে, সিরাম ইনস্টিটিউট ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে এইচপিভি টিকা, যা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।
বয়সভিত্তিক ডোজ পরিকল্পনা:
-
৯–১৪ বছর বয়সী ছেলে ও মেয়ে:
-
২টি ডোজ যথেষ্ট
-
-
১৫–২৬ বছর বয়সী নারী ও পুরুষ:
-
৩টি ডোজ নেওয়া প্রয়োজন
-
এই টিকা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যা ভবিষ্যতে ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
উপসংহার
এইচপিভি একটি নীরব ঘাতক, যা সময়মতো শনাক্ত না হলে মারাত্মক ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তবে সময়মতো সচেতনতা ও টিকাদান এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর অস্ত্র। সিরামের দেশীয় টিকা এই ক্ষেত্রে এক নতুন আশার আলো।