কলকাতা: বৃদ্ধ মিথু সেন রাত ১২টায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরিবারের সবাই চিন্তায় পড়ে অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স ডাকে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কেপিসিএমসিএইচ (কেপিসি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপিটাল) থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছায়। দক্ষ নার্সরা দ্রুত মিথু সেনকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে জরুরি চিকিৎসা শুরু করেন।
হাসপিটালে পৌঁছানোর পর, মিথু সেনকে সরাসরি জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্ণয় করেন যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সময় নষ্ট না করেই এনজিওপ্লাস্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অত্যাধুনিক ক্যাথ ল্যাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দলটি দ্রুত এই জটিল অপারেশন সম্পন্ন করেন।
অপারেশন সফল হয়। মিথু সেনকে পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে রাখা হয়। কয়েকদিন পর, তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন।
মিথুর পরিবার কেপিসিএমসিএইচের চিকিৎসক ও নার্সদের দক্ষতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন। তাদের মতে, যদি ঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না মিতু সেন হয়তো আর বাড়ি ফিরতে পারতেন না।

কেপিসি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপিটাল (কেপিসিএমসিএইচ) সম্পর্কে সাধারণ তথ্য:
কেপিসি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপিটাল (কেপিসিএমসিএইচ) একটি অত্যাধুনিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যা কলকাতা শহর এবং পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি একটি সমিতি এবং ১৯৬১ সালের পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন এক্টের ৪(২) ধারার অধীনে নিবন্ধিত। ঐ সমিতি গঠন করেছেন বিখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন এবং মেডিকেল উদ্যোক্তা ডাঃ কালি প্রদীপ চৌধুরী কর্তৃক স্পনসরকৃত একটি অলাভজনক ফাউন্ডেশন। ডাঃ চৌধুরীর নির্দেশনা ও নেতৃত্বে, সমিতিটি কেপিসি মেডিকেল কলেজ ও হাসপিটাল প্রতিষ্ঠা করেছে, যা পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অনুমোদিত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত এবং ভারতীয় মেডিকেল কাউন্সিল দ্বারা স্বীকৃত।
সাধারণ তথ্য:
এই প্রতিষ্ঠানটি নিম্নলিখিতগুলি নিয়ে গঠিত:
চিকিৎসক: ৩৭৩ জন (রেজিস্ট্রার সহ: ১৫৩ জন)
নার্স: ~৩৮৫ জন (পर्यবেক্ষক কর্মী সহ)
শয্যা: ৭৫০ টি (৫৭টি আইসিইউ শয্যা, ৬টি এনআইসিইউ শয্যা, ৪টি পিআইসিইউ শয্যা সহ)



