পিজিতে শুরু হচ্ছে রোবটিক সার্জারি: সরকারি হাসপাতালে পূর্ব ভারতের নতুন দিগন্ত
রোগীর শরীরে কম কাটাছেঁড়া, রক্তপাতের আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে এবং নিখুঁত অস্ত্রোপচারের সুযোগ—এই সব কারণেই রোবটিক সার্জারি এখন এক জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। এতদিন এই প্রযুক্তি মূলত বেসরকারি হাসপাতালেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার সেই চিত্র পাল্টাতে চলেছে।
এসএসকেএম হাসপাতাল—পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি হাসপাতাল হিসেবে শুরু করতে চলেছে রোবটিক সার্জারির পরিষেবা। ইতিমধ্যেই সাত কোটি টাকার রোবটিক সিস্টেম এসে গিয়েছে এবং নতুন ওটি তে স্থাপন করা হয়েছে রোবটিক আর্ম ও কনসোল প্যানেল।
প্রথম পর্যায়ে জেনারেল সার্জারি, ইউরোলজি এবং গাইনোকোলজি বিভাগে রোবটিক অপারেশন শুরু হবে। পরে ধাপে ধাপে যুক্ত হবে নিউরোসার্জারি, অর্থোপেডিক্স, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি এবং কার্ডিয়োথোরাসিক সার্জারির মতো বিভাগ।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে জটিল অংশে সহজেই পৌঁছনো যায়, কারণ রোবটিক আর্ম ৩৬০ ডিগ্রি ঘোরে। এর ফলে অস্ত্রোপচার আরও নিখুঁত হয় এবং রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সময় অনেকটাই কমে যায়। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও বয়সের কারণে যাঁরা অপারেশন করতেন না, তাঁরাও রোবটিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফের অপারেশন করতে পারবেন।
সরকারি স্তরে এই পরিষেবা চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষ এবং গরিব রোগীরাও অত্যাধুনিক চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের রোবটিক সার্জেন হিসেবে জুনিয়র ডাক্তারদেরও প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি হবে। রাজ্য সরকার আশাবাদী, আগামী পাঁচ বছরে প্রায় ২০০–৩০০ জন রোবটিক সার্জেন সরকারি ব্যবস্থায় প্রশিক্ষিত হয়ে উঠবেন।
এই উদ্যোগ পূর্ব ভারতে রোবটিক সার্জারির এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।