পশ্চিমবঙ্গের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্ত হচ্ছে আরও এক মাইলস্টোন। এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (পিজি হাসপাতাল) গড়ে তুলতে চলেছে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় এবং দেশের অন্যতম বৃহত্তম ইমার্জেন্সি কেয়ার ইউনিট।
শুধু বেডের সংখ্যা নয়, ট্রমা কেয়ারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে এখানে তৈরি হবে —
✔ রেড জোন — গুরুতর সংকটাপন্ন রোগী
✔ ইয়েলো জোন — মাঝারি ঝুঁকির কেস
✔ গ্রিন জোন — অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল রোগী
এমন আধুনিক সুবিধা এখনও পর্যন্ত কোনও কর্পোরেট হাসপাতালেও নেই!
১১০ বেডের সুপার অ্যাডভান্সড ইমার্জেন্সি
বর্তমানে যেখানে মাত্র ৪৫ বেড ও ৫টি ইমার্জেন্সি টেবিল, সেখানে নতুন ইউনিটে থাকবে —
১১০ বেড
একাধিক ভেন্টিলেটর
অত্যাধুনিক কার্ডিয়াক মনিটর
ডিফিব্রিলেটর
উন্নত লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম
আলাদা ইমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ড (EOW)
ইমার্জেন্সি বিভাগ একতলা থেকে তিনতলা বিস্তৃত করা হবে। আশপাশের সব ফাঁকা জায়গা যুক্ত করা হবে দ্রুত রোগী ব্যবস্থাপনার সুবিধায়।
AIIMS ও Safdarjung-কে মডেল ধরে পরিকল্পনা
জাতীয় মানদণ্ডে পৌঁছাতে চিকিৎসকেরা দিল্লির দুই শীর্ষ সরকারি মেডিকেল কলেজ —
AIIMS Delhi
Safdarjung Hospital
— এর ইমার্জেন্সি পরিকাঠামো পর্যবেক্ষণ করে পরিকল্পনা করেছেন।
একজন রোগীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হচ্ছে ইমার্জেন্সি। এখানকার পরিষেবার মানই বোঝায় হাসপাতালের সামগ্রিক মান। সেজন্যই এই পূর্ণাঙ্গ রূপান্তরের সিদ্ধান্ত।
ভিড়ে দেশের দ্বিতীয়, কিন্তু এখন হবে আরও বড়
সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ইমার্জেন্সি রোগী আসে—
➡ Safdarjung: দিনে প্রায় ৩,০০০ রোগী
➡ SSKM: দিনে প্রায় ১,০০০ রোগী
সংস্কার শেষে এসএসকেএময়ের ইমার্জেন্সি হবে ভারতের অন্যতম সবচেয়ে সক্ষম ইমার্জেন্সি সিস্টেম।
কর্পোরেট হাসপাতালও থাকবে অনেক পিছনে
কোলকাতার দুই শীর্ষ প্রাইভেট হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বেড—
২৫ বেড
২৬ বেড
তার বিপরীতে পিজির ১১০ বেড হবে একই সঙ্গে সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে আধুনিক ও সবচেয়ে সাশ্রয়ী—কারণ
➡ রোগীর চিকিৎসা হবে সরকারি ব্যবস্থায়
➡ সাধারণ মানুষের জন্য আরও নিরাপদ ও সুবিধাজনক



