পশ্চিমবঙ্গে ক্যানসার ও জটিল টিউমার শনাক্তকরণে আরও একধাপ এগোল রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল ও এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পর এবার আর.জি.কর মেডিক্যাল কলেজেও বসানো হলো অত্যাধুনিক এন্ডো ব্রঙ্কিয়াল আল্ট্রাসাউন্ড (EBUS বা ই-বাস) যন্ত্র।
বক্ষরোগ বিভাগের এই উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্র আগে কেবলমাত্র নামী কর্পোরেট হাসপাতালগুলিতেই পাওয়া যেত। এখন তা সরকারি মেডিকেল কলেজগুলির হাতের নাগালে।
ই-বাস কী এবং কেন এত প্রয়োজনীয়?
ই-বাস হল ব্রঙ্কোস্কোপির সঙ্গে যুক্ত একটি অত্যাধুনিক আল্ট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি, যার শেষে থাকে চালের দানার মতো ছোট্ট প্রোব।
এই প্রোবের সাহায্যে—
-
শ্বাসনালীর আশপাশে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র টিউমার শনাক্ত করা যায়
-
ফুসফুসের ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়েই ধরা পড়ে
-
লিম্ফ নোড–এর রোগ বা সংক্রমণ নির্ণয় করা যায়
-
যক্ষ্মা সংক্রান্ত জটিল পরিস্থিতিও চিহ্নিত করা সম্ভব
-
বায়োপসির জন্য টিস্যু ও ফ্লুইড স্যাম্পল সংগ্রহ করা যায় অত্যন্ত নিখুঁতভাবে
চিকিৎসকদের দাবি, এই যন্ত্র না থাকলে এমন বহু রোগই সময়মতো ধরা সম্ভব হয় না। ফলে রোগী মারাত্মক জটিলতার দিকে চলে যেতে পারেন।
মূল্য কম নয়—তবুও বিনিয়োগে কুণ্ঠা নেই রাজ্যের
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা যায়, একটি ই-বাস মেশিনের দাম প্রায় ₹২ কোটি।
এই সত্ত্বেও রাজ্যের তিনটি সরকারি মেডিকেল কলেজে একযোগে এই হাইটেক যন্ত্র বসানো স্বাস্থ্যপরিষেবায় বড় পদক্ষেপ।
চিকিৎসা ও চিকিৎসাশিক্ষার বড় সুবিধা
ই-বাস চালুর ফলে—
-
সরকারি হাসপাতালে আন্তর্জাতিক মানের ক্যানসার শনাক্তকরণ সম্ভব হবে
-
রোগীরা কম খরচে উন্নত পরীক্ষা করাতে পারবেন
-
বক্ষরোগ বিভাগের ছাত্রছাত্রী ও তরুণ চিকিৎসকেরা হ্যান্ডস-অন ট্রেনিং পাবেন
-
ভবিষ্যতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরির ক্ষেত্রে এটি বিশাল সম্পদ
চিকিৎসকদের মতে, ই-বাসের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে রোগীর জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়ে।



